জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের ঝুঁকি
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে পৃথিবীর জলবায়ু ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ-নিয়ন্ত্রিত গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে গেছে। এর ফলস্বরূপ চরম আবহাওয়া-ঘটনা যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, দাবদাহ ও খরা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিচু ভূমির দেশ বাংলাদেশে এদেরই বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। বাংলাদেশ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মিলনস্থলে অবস্থিত একটি ডেল্টা-দেশ, যেখানে ২০০টিরও বেশি নদী বয়ে গেছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে উচ্চতা খুব কম হওয়ায় (গড়ে মাত্র ৬ মিটার), ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলো সহজেই প্লাবিত হয়।
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি যুগলবিদ্ধ – বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা ও তীব্র বর্ষাকাল। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত উন্নয়নের পরও জলবায়ু প্রতিকূলতায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র মারাত্মক। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন কাহিনীতে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে; ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যুহার ১৯৭০’র পর থেকে প্রায় ১০০ গুণ কমে গেছে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। তবে ঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে অর্থাৎ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সতর্কতা জোরদার করলেও বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে লোক-সম্পদ বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নিচে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিগুলো তুলে ধরা হলো:
-
উপকূলীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ও ভূমি হারানো: সমুদ্রপৃষ্ঠের ধীরগতি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাতে ক্রমাগত জমি কেটে যাচ্ছে এবং মিঠাপানির পরিবর্তে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভবিষ্যতে সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধির ফলে দেশের নিম্নভূমি উপকূলীয় অঞ্চলে কোটি কোটি মানুষ স্থানচ্যুত হতে পারেন (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি ও প্লাবনের কারণে বহু উর্বর জমি লবণাক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। উচ্চাভিলাষী গবেষণায় বলা হয়েছে, উপকূলীয় ডেল্টা অঞ্চলে সমুদ্রজল অভ্যন্তরে প্রবেশের গতি বাড়বে, যেটি শতাব্দীর শেষভাগে সমুদ্র-তীরবর্তী অঞ্চলগুলোকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।
(Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)ছবিটি বাংলাদেশের পদ্মা নদীর তীরে নদী-ভাঙনের চিত্র দেখাচ্ছে। নদীতীরে বারবার প্রবল বন্যার কারণে মাটি গলছে এবং সেখানকার বসতি ধীরে ধীরে নদীতে বিলীন হচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ও প্রবল প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে নদীর ভাঙ্গন তীব্র হচ্ছে, যা নদীতীরবর্তী মানুষের বসতি ও কৃষিজমিকে বিপন্ন করছে।
-
ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল ঝড়: বাংলাদেশের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে প্রত্যহ ঝড়ের সম্ভাবনা থাকে। গ্রীষ্ম ও মনসুন মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় (সাইক্লোন) আঘাত হলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। ১৯৯০-২০১৮ সময়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৭০টি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল (In Pictures: Bangladesh on the frontline of climate crisis | Environment | Al Jazeera)। এর মধ্যে ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ ছিল কেবল মেখলা-কাটার নয়, শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর তীব্রতা (Category 5) সম্পন্ন ঝড়। যদিও বাংলাদেশের সৎকার-ব্যবস্থা এবং ব্যাপক স্যরেন ব্যবস্থা থাকায় প্রাণহানি অনেকটাই কম হয়েছে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh), তবু ঘূর্ণিঝড়ের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবার গড়পড়তা একটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ক্ষতি করে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)।
-
বন্যা ও অতিবৃষ্টিপাত: বর্ষা এবং ভারত থেকে বয়ে আসা নদীর জলবৃদ্ধি বাংলাদেশের বড় সমস্যা। প্রতিবার বর্ষাকালে নেমে আসা ভারী বৃষ্টির ফলে নদী ভাঙন ও বন্যা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে; এতে ১০০ জনের বেশি নিহত এবং সাত মিলিয়ন মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের শিকার হয়েছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। ২০১৯ সালের কুড়িগ্রাম জেলার বন্যায় প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং ৬৭৭,০০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল (In Pictures: Bangladesh on the frontline of climate crisis | Environment | Al Jazeera)। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অতিবৃষ্টিপাত এবং প্রবল বন্যার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। কেওসaragুডায় নদীতীরের বাঁধ ভেঙে ফসলি জমিতে বন্যার পানি ঢুকলে কৃষক-জেলেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
(In Pictures: Bangladesh on the frontline of climate crisis | Environment | Al Jazeera)উপরের উড়োজাহাজ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ভাঙন-রক্ষিত অঞ্চল জলের নিচে তলিয়ে গেছে। উষ্ণায়নের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত ও উপরের দেশের নদীর অতিভরিত পানি বাংলাদেশের এই তীরে প্রবেশ করে বসতি ও ফসলি জমিকে প্লাবিত করে দিচ্ছে। বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ থাকলেও বার্ষিক উন্নত হওয়া বন্যায় সেগুলোও প্রায়পর্যন্ত কার্যহীন হয়ে পড়ছে।
-
খরা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি বিপদ হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খরাপ্রবণতা। বাংলাদেশের মরশুমজুড়ে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে (শীত ও বসন্ত) দিন ও রাতের তাপমাত্রার চরম উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে অতিরিক্ত উষ্ণদিন ও উষ্ণরাত্রির দিনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়বে। একই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের লবণাক্ত বায়ুর কারণে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়েছে; কখনো কোরসেরকম ভয়াবহ মোনসুন বন্যা হচ্ছে, আবার কখনো দীর্ঘদিন শুষ্কতা বাড়ছে। খরার তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে কৃষি-প্রথম জনসমাজ অতিরিক্ত সেচ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। উর্বর ধানক্ষেতেও এবার বৃষ্টিপাত কম পেলে ফসলনিড় হতে পারে, যা ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ।
-
লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও পানির সংকট: উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রজলের স্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিঠাপানি সৃষ্টিতে লবণাক্ত পানি ঢুকছে। কক্সবাজার-খুলনা-বরিশাল এলাকার অনেক গ্রামের পানীয় জলে আগেই উচ্চমাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া যায়। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে মিঠাপানির মৎস্যচাষ প্রকূল-তরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় freshwater মাছ চাষের পুকুরে লবণাক্ত পানির প্রবেশ ঘটায় মাছের উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে। এই কারণে চাষি ও জেলে অনেকেই নোংরা পানিতে জীবন নির্বাহ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যেহেতু পরিচ্ছন্ন পানীয়ের অভাব বেড়েছে। সমুদ্রসীমার ধারের নিম্নভূমিতে মাটির গর্ত থেকে পানীয় পানির মধ্যেও লবণাক্ততা অনেক এলাকা জুড়ে বেড়ে গেছে।
-
অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব: উক্ত সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বাংলাদেশের মানুষ ও অর্থনীতিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি আয়ের ওপর জলবায়ুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি, কারণ বাংলাদেশের মেহনতি জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% কৃষিজীবী (BIPR | Climate Change Exposes Bangladesh to Greater Risk)। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অত্যন্ত আবহাওয়ার কারণে দেশের কৃষিজমির ~১/৩ অংশ থেকে উৎপাদন কমে যেতে পারে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষিকাজ ব্যাপক প্রভাবিত হবে। গত বন্যা-ক্ষয় ও খরার কারণে বহু কৃষি-পরিবারের আয়ের মূ্লধন নষ্ট হয়েছে।
নদী ভাঙন ও লবণাক্ততার কারণে অনেকে গৃহহারা হয়ে পড়ছে। প্রচলিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নদী-ভাঙনে এই বছর বাংলাদেশে প্রায় ১,৮০০ হেক্টর ভূমি হারাবে এবং অন্তত ১০,০০০ পরিবারের বাড়ি নদীর পাড়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। ফলে বহু লোক শহরের অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হয়ে উঠছে। উদাহরণস্বরূপ, এই পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে – ঢাকার জনসংখ্যা ২০০০ সাল থেকে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ২২ মিলিয়নে পৌঁছেছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera)। এদের মধ্যে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা কম, ফলে স্বাস্থ্য-পরিবেশ বিপর্যয় ও দারিদ্র্যের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ুর প্রভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছে – তাপমাত্রার উর্ধ্বগতিতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা অসুখের প্রবণতা বেড়ে চলেছে।
আরও বিস্তৃত পর্যায়ে, জলবায়ু ঝুঁকি দেশটির আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকেও ব্যাহত করছে। এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে, শক্তিশালী বন্যার কারণে দেশের জিডিপি ৯% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। পাশাপাশি আগামী ৩০ বছরে প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষ আবহাওয়া-জনিত কারণে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হতে পারে (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। অর্থাৎ এই পরিবর্তনের খরচ সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমেই বাড়ছে।
অভিযোজন ও সমাধান
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ক্রমাগত এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সরকার ২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে, যা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উদাহরণ (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। উপকূলরক্ষায় প্রায় ৬,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী বাঁধ, শত শত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ব্যাপক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া চালু করা হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নির্ভর অর্থায়ন ব্যবস্থা – যেখানে দুর্যোগের পূর্বাভাস মিললে তৎক্ষণাৎ জরুরি তহবিল সরবরাহ করা হয়। এর ফলে বন্যার আগে দূরঞ্চলে খাদ্য ও সহায়তা পৌছে যাচ্ছ।
তবে আরো কাজ বাকি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সরকারি পর্যায়ে কেবল নয়, কমিউনিটি স্তরেও সচেতনতা বাড়িয়ে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার এবং বৃক্ষরোপণ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি সমুদ্র-উপকূলীয় বাঁধ ও বাঁধ-নালা সঠিকভাবে মেরামত ও সম্প্রসারণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভাবের তুলনায় আরও জলবায়ু তহবিল নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে গ্রামীণ অঞ্চলের কৃষক ও জেলে টেকসই প্রযুক্তি, নিরাপদ পানীয় জল ও বন্যা আশ্রয় দেয়ার সুযোগ পায়।
উপসংহার: সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ। বদলে যাওয়া আবহাওয়া, সুনামি-রকম ঘটনা ও অসংগঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বাংলাদেশের নিম্নভূমি, উপকূলীয় এলাকা, ও জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে (Photos: Bangladeshis flee as climate crisis submerges villages | Climate Crisis News | Al Jazeera) (Key Highlights: Country Climate and Development Report for Bangladesh)। যদিও বাংলাদেশের জনগণ ইতোমধ্যে অভিযোজনের অগ্রগতি করেছে, তবুও ভবিষ্যতে আরও কার্যকর প্রস্তুতি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় প্রচেষ্টা প্রয়োজন। দুষ্প্রাপ্য তহবিল সৃষ্টির পাশাপাশি সম্মিলিত সচেতনতা ও উদ্যোগই বাংলাদেশকে এই জলবায়ু ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে।
No comments:
Post a Comment